কুমিল্লার তিনটি উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন নারী ও তিনটি শিশু রয়েছে। এই মৃত্যুগুলোর বেশিরভাগই আত্মহত্যা ও দুর্ঘটনার কারণে ঘটেছে।
তিতাসে বিষপানে দুই শিশুর মৃত্যু, আত্মহত্যার চেষ্টা পিতার
তিতাস উপজেলার তুলাকান্দি গ্রামে বাকপ্রতিবন্ধী মনু মিয়া তার দুই কন্যা — ১০ বছরের মনিরা ও ৬ বছরের ফাতিহাকে কীটনাশক খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, মনু মিয়া বাকপ্রতিবন্ধী ছিলেন।
ঋণের চাপে গলায় ফাঁস দেন এক ব্যক্তি
একই উপজেলার মাছিমপুর পশ্চিমপাড়ায় সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ৫৫ বছর বয়সি মুর্শিদ মিয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি একাধিক এনজিও ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, যা ফেরত দিতে না পারায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও এক সন্তান রেখে গেছেন।
ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রবাস ফেরত নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তরা আক্তার (২৫) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছিলেন এবং পুলিশ ধারণা করছে তিনি রাতে আত্মহত্যা করেছেন। তার বাবার নাম কামাল হোসেন, যিনি পেশায় ভ্যানচালক।
ইজিবাইক চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
একই উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইজিবাইক চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান টুটুল (২৮) নামের এক যুবক। তিনি দুলালপুর গ্রামের মোস্তফার ছেলে এবং নানাবাড়িতে বসবাস করতেন।
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সকালে সাহেবাবাদ ইউনিয়নের টাকই এলাকায় পুকুরের পানিতে পড়ে ১৬ মাস বয়সি হোসাইন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় রফিকুল ইসলামের সন্তান।
বুড়িচংয়ে রেললাইনের পাশে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার