চাঁদপুরের লেকে কিশোরের লাশ: হত্যাকাণ্ড বলছে পরিবার, ৭ বন্ধু আটক

চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে লেক থেকে আল-আমিন (১৭) নামে এক কিশোরের রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সদ্য এসএসসি পাস করা এই ছাত্রের মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল-আমিনের ৭ বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১২ জুলাই) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে স্থানীয়রা লেকের পানিতে আল-আমিনের মরদেহ ভাসতে দেখে। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আল-আমিন চাঁদপুর শহরের গণি স্কুল থেকে সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। সে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী প্রধানিয়ার ছেলে। তাদের পরিবার শহরের মমিনপাড়া এলাকায় বসবাস করে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে আল-আমিন বাসা থেকে বের হয়ে শহরের হাসান আলী হাই স্কুল মাঠ সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘অঙ্গীকার’-এর কাছে লেকের পাড়ে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। এরপর রাতে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর স্বজনরা তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান বলে অভিযোগ করেন। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে আল-আমিনকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়েছে।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে আল-আমিনের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু মামুন, দিদার গাজী, জাহেদ, দিদার ইসলাম, মঈন ইসলাম ও শামীমসহ মোট ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।

এদিকে, আল-আমিনের মৃত্যুর খবরে তার স্বজন ও সহপাঠীরা হাসপাতালে ভিড় জমান। তাদের আহাজারি ও কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। ঘটনার পরপরই চাঁদপুর মডেল থানার ওসি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হাসপাতালে ছুটে যান। তারা নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের আশ্বাস দেন।

Share This Article
Leave a Comment