পিএসজিকে উড়িয়ে নতুন ক্লাব বিশ্বকাপের রাজা চেলসি, ফাইনালে বিধ্বস্ত প্যারিসের স্বপ্ন

দুরন্ত স্বদেশ ডেস্ক

নতুন আঙ্গিকের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ঘটল অঘটন। ট্রেবলজয়ী ও ইউরোপ সেরা পিএসজিকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শিরোপা নিজেদের করে নিল চেলসি। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে প্রায় ৮২ হাজার দর্শকের সামনে কোল পালমারের জোড়া গোল এবং জোয়াও পেদ্রোর গোলে প্যারিসের দলটির স্বপ্ন চুরমার করে দেয় ইংলিশ ক্লাবটি।

ম্যাচজুড়ে বল দখলে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও মাঠের খেলায় তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণই ছিল না। ম্যাচের শুরু থেকেই গতিময় ও পরিকল্পিত আক্রমণে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত রাখে চেলসি। ২২ মিনিটেই এর ফল মেলে। মালো গুসতোর চমৎকার পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইংলিশ তারকা কোল পালমার।

ঠিক আট মিনিট পর আবারও দৃশ্যপটে পালমার। এবার লেফট-ব্যাক লেভি কলউইলের সহায়তায় নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে খেই হারিয়ে ফেলে পিএসজি। এই সুযোগে প্রথমার্ধেই ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে যায়। ৪৩তম মিনিটে চেলসির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন নতুন সাইনিং জোয়াও পেদ্রো, যা ক্লাবের জার্সিতে তার তৃতীয় গোল।

দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি মরিয়া হয়ে চেষ্টা করলেও চেলসির জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। উসমান দেম্বেলে ও তার সতীর্থদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে দেখে মেজাজ হারায় পিএসজির খেলোয়াড়েরা। ৮৫তম মিনিটে চেলসি ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেলার চুল টেনে ধরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস। এর দুই মিনিট পর রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে হলুদ কার্ড দেখেন দেম্বেলে।

শেষ বাঁশির পর উত্তেজনা মাঠের বাইরেও গড়ায়। দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এমনকি পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেও নিজের মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি।

এই জয়ে চেলসি তাদের মৌসুম শেষ করল দারুণ এক শিরোপা দিয়ে। কনফারেন্স লিগ জয়ের পর ক্লাব বিশ্বকাপ জয় তাদের জন্য বিশাল এক প্রাপ্তি। এটি তাদের দ্বিতীয় ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা; প্রথমটি তারা জিতেছিল ২০২১ সালে পালমেইরাসকে হারিয়ে। অন্যদিকে, ট্রেবল জয়ের পরও নিখুঁত একটি মৌসুম কাটানোর স্বপ্নভঙ্গ হলো পিএসজির। হট ফেভারিট হয়েও শিরোপা জিততে না পারার হতাশাই যেন ফুটে উঠল তাদের খেলার বাইরের আচরণে।

Share This Article
Leave a Comment