ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তাদের ‘হাইব্রিড’ হামলায় ইসরায়েলের হাইফা, ক্রায়োট এবং গ্যালিলির মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। হামলার পর ইসরায়েলজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়। নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
এর জবাবে ইসরায়েল ইরানের বুশেহর প্রদেশের সাউথ পার্স গ্যাস ক্ষেত্র এবং ফজর জাম তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালায়, যার ফলে সেখানে আগুন লেগে যায়। এটিকে ইরানের জ্বালানি খাতে প্রথম সরাসরি ইসরায়েলি হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইরান ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করলেও জরুরি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে দাবি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো শক্তিধর দেশগুলো উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের এবং যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছেন।
একই সাথে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজিশকিয়ান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ফোনে জানিয়েছেন যে, ইরান শান্তি চাইলেও ইসরায়েল পরিস্থিতি নষ্ট করছে। অন্যদিকে, কাতার এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে নিন্দা করেছে। এই ঘটনায় পুরো অঞ্চলে সংঘাত আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।